বাংলাদেশের বিচার বিভাগ

- সাধারণ জ্ঞান - বাংলাদেশ বিষয়াবলী | NCTB BOOK
5.6k
Summary

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ তিনটি স্তরে গঠিত: সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল সংবিধানের ১১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়।

স্বাধীন বিচার বিভাগের উদ্দেশ্য নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং দুর্বলদের সুরক্ষা নিমিত্তে অপরাধীদের শাস্তির বিধান করা। এর মাধ্যমে আইন ও সংবিধান মেনে চলা হয়।

প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিয়োগ দেন। প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে আপীল বিভাগের প্রবীণতম বিচারক অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি হলেন বিচারপতি এ এস এম সায়েম, এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়। ২০০৭ সালে মাজদার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলায় এই পৃথকীকরণ হয়। বিচার বিভাগ নাগরিক অধিকার রক্ষায় ৫ ধরনের রীট প্রয়োগ করে:

  • হেবিয়াস কর্পাস (Habeas Corpus)
  • ম্যানডামাস (Mandamus)
  • নিষেধাজ্ঞা (Prohibition)
  • সার্শিওয়ারি (Certiorari)
  • কোয়াওয়ারেন্টো (Quo Warranto)

  • বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত।
  • সংবিধানের ১১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হবে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল।
  • নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, অপরাধীর শাস্তিবিধান এবং দুর্বলকে সবলের হাত থেকে রক্ষার জন্য দরকার স্বাধীন বিচার বিভাগ ।
  • নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ আইনের অনুশাসন ও দেশের সংবিধানকে অক্ষুন্ন রাখে।
  • সংবিধানের ৯৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ।
  • সংবিধানের ৯৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন কারণে প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আপীল বিভাগের প্রবীণতম বিচারক ।
  • বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি বিচারপতি এ এস এম সায়েম ।
  • বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন (২২তম প্রধান বিচারপতি)।
  • নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করার বিধান বর্ণিত হয়েছে সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ।
  • বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়- ১ নভেম্বর, ২০০৭ সালে মাজদার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলায়।

নাগরিক অধিকার রক্ষায় বিচার বিভাগের ৫ ধরনের রীট প্রয়োগ করে। যথা:

  1. হেবিয়াস কর্পাস (Habeas Corpus )
  2. ম্যানডামাস (Mandamus)
  3. নিষেধাজ্ঞা (Prohibition)
  4. সার্শিওয়ারি (Certiorari) এবং
  5. কোয়াওয়ারেন্টো (Quo Warranto)
Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সুপ্রীম কোর্ট ও আদালত

3.1k
Please, contribute by adding content to সুপ্রীম কোর্ট ও আদালত.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সুপ্রিম কোর্ট

1.5k
  • বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালতের নাম- সুপ্রিম কোর্ট।
  • সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ রয়েছে- হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগ।
  • বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট প্রনিধানযোগ্য।
  • সংবিধানের রক্ষক হিসেবে সংবিধানের ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্ট।
  • সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ১০ বছর এ্যাডভোকেট বা অধস্তন আদালতে বিচারক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • কোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত কর্মরত থাকতে পারেন।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আপিল বিভাগ

2.2k
  • আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, বা দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে শুনানির ব্যবস্থা করেন। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপতি আইনের কোনো ব্যাখ্যা চাইলে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
  • আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য অবশ্যই পালনীয়।
  • বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৪নং অনুচ্ছেদে কোর্ট গঠনের কথা উল্লেখ আছে ।
  • বাংলাদেশের ইতিহাসে উচ্চতর আদালতের প্রথম মহিলা বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

হাইকোর্ট বিভাগ

1.2k
  • নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য নির্দেশ জারি করতে পারে- হাইকোর্ট।
  • কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কাজ থেকে নিবৃত রাখতে পারে- হাইকোর্ট বিভাগ ।
  • অধস্তন কোনো আদালতের মামলায় সংবিধানের ব্যাখ্যাজনিত জটিলতা দেখা দিলে সেই মামলা হাইকোর্ট বিভাগে স্থানান্তর হয়।
  • অধস্তন আদালতের কার্যবিধি প্রণয়ন পরিচালনা করে হাইকোর্ট বিভাগ।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বিচারপতি হাবিবা
বিচারপতি নাইমা
বিচারপতি রোকসানা
বিচারপতি সুলতানা
সরাসরি রিভিশন দায়ের করতে পারে
অনুমতি সাপেক্ষে রিভিশন দায়ের করতে পারে
আপিল করতে পারে
অনুমতি সাপেক্ষে আপিল করতে পারে

অধস্তন আদালত

2.3k
  • সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বিচার ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করে।
  • অধস্তন আদালতগুলো ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করেন।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত
দায়রা জজ আদালত
দ্বিতীয় শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট
প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট
আইন ও ঘটনার মিশ্র প্রশ্ন
আইনের প্রশ্ন
ঘটনার প্রশ্ন
অধিকারের প্রশ্ন

জেলা জজ আদালত

3k
  • জেলা আদালতের প্রধান হলেন- জেলা জজ।
  • জেলা জজ আদালত জেলা পর্যায়ে (জমিজমা সংক্রান্ত, ঋণচুক্তি ইত্যাদি) ফৌজদারি (সংঘাত সংক্রান্ত) মামলা পরিচালনা করে।
  • সাব জজ আদালত ও সহকারী জজ আদালত জেলা আদালতকে মামলা পরিচালনায় সহায়তা করে।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

কোনো উচ্চতর আদালতের কার্যক্রম
কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম
কোনো অধঃস্তন দেওয়ানি আদালতের কার্যক্রম
কোনো জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম

গ্রাম আদালত

1.2k
  • বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন আদালত হলো আদালত ।
  • পরিষদের চেয়ারম্যান বিবাদমান গ্রুপের দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে আদালত গঠিত।
  • যেসব স্থানীয় পর্যায়ে বিচার করা সম্ভব, মূলত সেগুলোর বিচার এখানে করা হয়।
  • ছোটখাটো ফৌজদারি মামলার বিচার এ আদালত করতে পারে।
Content added By

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল

2k
  • সংবিধানে ১১৭ নং অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করার কথা হয়েছে।
  • ১৯৮০ সালের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আইনের সরকারি কর্মচারীদের চাকুরিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বাংলাদেশের জরুরী সেবা নম্বর

4.9k

নম্বর

সেবা

১৬১২৩

কৃষি বিষয়ক যে কোন পরামর্শ পেতে বিনামূল্যে কল করা যাবে। কৃষি, মৎস, প্রানীসম্পদ বিষয়ক যে কোন পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানা যাবে।

১৩১

বাংলাদেশ রেলওয়ে কল সেন্টার। ট্রেন এর টিকিট সম্পর্কে জানতে কল করা যাবে।

১০৯

নারী নির্যাতন বা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে- এই সেবা নেওয়া যাবে।

১০৫

জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য কল সেন্টার।

১৬২৫৬

ইউনিয়ন সহায়তামুলক কল সেন্টারে।

১৬১০৮

মানবাধিকার সহায়ক কল সেন্টার। মানবাধিকার বিঘ্নিত হলে সেবা নিতে পারে যে কেউ।

১৬২৬৩

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য কল সেন্টার। যে কোন সমস্যায় ২৪ ঘন্টায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যাবে।

৩৩৩

জাতীয় তথ্যবাতায়ন কল সেন্টার। বাংলাদেশের যে কোন তথ্য জানতে ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে।

১০০

বিটিআরসি কল সেন্টার।

১৬৪২০

বিটিসিএল কল সেন্টার।

১০৯৮

শিশু সহায়তামূলক কল সেন্টার। চারপাশে শিশুদের যে কোন সমস্যা হলে বিনামূল্যে কল করে সেবা নেওয়া যাবে।

১০৬

দুর্নীতি দমন কমিশনের করে সেবা নেওয়া যাবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের কল সেন্টার। যে কোন দুর্নীতি চোখে পড়লে বিনামূল্যে কল করে জানানো যাবে।

১৬৪৩০

সরকারি আইনি সহায়তা কল সেন্টার। আইনগত যে কোন পরামর্শ বা সাহায্য পেতে বিনামূল্যে কল করা যাবে।

৯৯৯

বাংলাদেশের জরুরি কল সেন্টার। এখানে বিনামূল্যে ফোন করে জরুরী মুহুর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স এর সাহায্যের জন্য। এছাড়াও যে কোন অপরাধের তথ্যও পুলিশকে জানানো যাবে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিউজ ওয়াইড ডায়ালিং
ন্যাশনাল ওয়াইড ডায়ালিং
নেশন ওয়াইড ডায়ালিং
নিউ ওয়াইড ডায়ালিং
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...